একজন
শিশুর জন্মের পর নাম রাখা বাবা-মায়ের জন্য একটি বিশেষ এবং গুরুত্বপূর্ণ কাজ। ইসলামে
নাম রাখার ক্ষেত্রে এমন নাম বেছে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে যা সুন্দর অর্থ বহন
করে এবং ইসলামী সংস্কৃতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। কোরআন থেকে মেয়েদের নাম নির্বাচন করা একটি জনপ্রিয় এবং অর্থবহ
পদ্ধতি, কারণ কোরআনের নামগুলো সাধারণত পবিত্র এবং গভীর অর্থপূর্ণ হয়ে থাকে।
কেন কোরআন থেকে নাম নির্বাচন করা গুরুত্বপূর্ণ?
কোরআন
থেকে নাম বেছে নেওয়ার কারণ এটি শুধু একটি শব্দ নয়, বরং এটি আপনার সন্তানের ব্যক্তিত্বের
সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একটি দিককে তুলে ধরে। কোরআনে উল্লেখিত নামগুলো আল্লাহর গুণাবলী, নবী-রাসুলদের
নাম, বা পবিত্র স্থান ও বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে সম্পর্কিত হয়। এগুলো সন্তানের জীবনে একটি
পবিত্র প্রভাব ফেলতে পারে।
কোরআন থেকে কিছু মেয়েদের নাম এবং তাদের অর্থ
১. আয়াত
(Ayat):
এটি কোরআনের আয়াত বা পবিত্র নিদর্শনের প্রতীক। এর অর্থ হলো আল্লাহর মহান শক্তির নিদর্শন।
২. নূর (Noor):
নূর মানে আলোর প্রতীক, যা আল্লাহর পবিত্রতা এবং নির্দেশনার প্রতিফলন।
৩. জান্নাত (Jannat):
এটি অর্থ স্বর্গ বা বেহেশত। এই নামটি সুখ এবং আধ্যাত্মিক শান্তির প্রতীক।
৪. সাফা (Safa):
এর অর্থ হলো বিশুদ্ধতা বা পবিত্রতা।
৫. মারিয়াম (Maryam):
এটি কোরআনে হযরত ঈসা (আ.)-এর মা মারিয়ামের নাম থেকে নেওয়া হয়েছে। এর অর্থ হলো পবিত্র
এবং ধার্মিক।
কোরআন থেকে নাম রাখার কিছু টিপস
১.
সন্তানের নাম রাখার সময় নামের অর্থ সম্পর্কে নিশ্চিত হন।
২. এমন নাম নির্বাচন করুন যা সহজে উচ্চারণযোগ্য
এবং বোঝার মতো।
৩. পবিত্র কোরআনের নির্ভুলতা এবং তাৎপর্য ধরে
রাখার জন্য বিশ্বস্ত উৎস থেকে নাম বেছে নিন।
আপনার
সন্তানের জন্য একটি সুন্দর নাম বেছে নেওয়া শুধু একটি ঐতিহ্য নয়, এটি আপনার ভালোবাসা
এবং বিশ্বাসের প্রতীক।
|